,

মামুনুল হক সম্পর্কে সেই নারী- সঙ্গীর ছেলেআমি সবাইকে বলবো কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করবেন না

সময় ডেস্ক ॥ ‘শুধু আমার মাকে নয়, কতো মানুষকে, কতো পরিবারকে ক্ষতি করেছে তার হিসেব নাই। আমি সবাইকে বলবো কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করবেন না। সবারই মুখোশের আড়ালে একটা চেহারা থাকে। মামুনুল আলেম নামধারী একটা জানোয়ার। এর মাঝে কোনো মনুষ্যত্ব নেই। আমি সবার কাছে আশা করবো তার যেন সঠিক বিচার হয়।’ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মামুনুলের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আব্দুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আব্দুর রহমানের তিন মিনিট দুই সেকেন্ডের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমি বড় হয়েছি, পরিবেশ বুঝি কিন্তু আমার ছোট ভাই শামীম মাত্র ১২/১৩ বছরের। সে তেমন কিছু বুঝে না। লোকে অনেক কথা বলতেছে। সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না। কাল দেখলাম সে সারারাত ঘুমায়নি। সে মানসিক ভাবে শকড।’ আব্দুর রহমানের মতে, ‘এটা আমি বলবো আমার বাবার কর্মের ফল। আমার বাবা মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতো। পাগলের মতো ভালোবাসতো। কিছু দিন আগে মোল্লারহাটে একটা মাহফিল ছিলো যেটা পুলিশ করতে দেয়নি। সে একটা জায়গায় লুকায়া ছিল। আমার বাবা সেটা দেখে আইসা কীভাবে যে কানছে। তার আগেই বিষয়টা আমি জানছি যে, আমার মায়ের সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক ছিল। আমি তখন হাসতে ছিলাম যে, এই লোকটা যার জন্য অঝোর ধারায় কানতেছে আর ওই লোকটা (মাওলানা মামুনুল হক) এই লোকটার (বাবা শহীদুল ইসলাম) সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতেছে। তারপরে যখন ওনাকে জেলে নিলো, মাওলানা মামুনুল হককে জেলে নিলো, তখন আমার বাবা থানার ওসি কামরুজ্জামানকে বলে যে, আমাকে রেখে ওনাকে ছেড়ে দেন। কতটা ভালোবাসলে একটা মানুষকে এই কথা বলতে পারে। আর সেই লোকটা কীভাবে গাদ্দারি করলো।’ মামুনুল হককে যখন পুলিশে ধরে নিয়ে যায় তখন আমার বাবা ওসি কামরুজ্জামানকে বলেছিলেন, আপনি আমাকে নিয়ে যান মাওলানা সাহেবকে ছেড়ে দেন। আজ সেই লোকটাই এই ভাবে আমাদের সঙ্গে গাদ্দারি করলো? আব্দুর রহমান বলেন, ‘আরো আগের কথা যদি বলি, একদিন আমার মা আমার ছোট ভাইকে দুগ্ধ পান করাচ্ছিলেনি এমন সময় মামুনুল সাব আমাদের ঘরে ঢুকে গিয়ে মাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলো। মা তখন বলেছিলেন, এটা ঠিক না। কিন্তু তখন থেকেই মামুনুল সুযোগ খোঁজতে ছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ এতো তাড়াতাড়ি এসে যাবে ভাবিনি।’ আব্দুর রহমানের দাবি, আমার মা-বাবার সঙ্গে যখন ঝগড়া হতো মামুনুল সাব তখনই আরো ঝগড়া বাজানোর চেষ্টা করতো। যেন ডিভোর্স হয়ে যায়। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম জান্নাত আরা ঝর্না (৩০)। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেজো মেয়ে তিনি। মাওলানা মামুনুল হক ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে নাম বলেন আমিনা তৈয়বা। যদিও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম জান্নাত আরা ঝর্না। ঝর্নার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের গণমাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রচারের পর বিষয়টি জানাজানি হয় সেই নারীর গ্রামেও। তবে, ঝর্নার আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছে; দুটি সন্তান আছে। এ কথা সবাই জানলেও দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানেন না এলাকাবাসী। ঝর্নার বাবা ওলিয়ার রহমান বলেন, ‘জান্নাত আরা ঝর্নার নয় বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারীর চর-কচুড়িয়া গ্রামে। শহীদুল্লাহ ও ঝর্না দম্পতির আব্দুর রহমান (১৭) ও তামীম (১২) নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর